ওএমএস ও টিসিবির মতো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিগুলোর কারণে চালের দাম প্রতি কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকা কমেছে। দাম আরও কমবে বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সড়াইগাছী মোড়ে ওএমএসের চাল বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খাদ্য মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে ওএমএস ও টিসিবির পণ্য বিতরণ হচ্ছে।
এসব কর্মসূচিতে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, দরিদ্র- নিম্ন আয়ের পরিবার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। বিতরণ কার্যক্রমে কোথাও কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল কিনছেন। এছাড়া ওএমএস কর্মসূচি সপ্তাহে ৫ দিন চলছে। সারাদেশে ২ হাজার ৩৭০ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। আগে একজন ওএমএসের ডিলার এক টন চালের বরাদ্দ পেতেন। এবার প্রত্যেক ডিলার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন। টিসিবি কার্ডধারীরা কার্ড দেখিয়ে এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে মাসে দুই বার ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। এক ব্যক্তি যাতে বার বার চাল কিনতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এ সময় কৃষকরা যেন আমন ধানে ন্যায্যমূল্য পান, সেটা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।